১. ময়ূরশিখা: চুলকানি ও দাদ হলে ময়ূরশিখা চূর্ণ হলুদ মাখা গায়ে দেয়ার মতো করে আক্রান্ত স্থানে একটু ভারী করে এবং অন্যান্য স্থানে হালকাভাবে মাখলে কয়েকদিনে উপকার হবে।
২. কেও: চামড়ার ওপর দাদ, খোস, চুলকানি হয়েই থাকে অনেক কারণে। কেও গাছের মূল বেটে তার রস নিয়ে দেহে মাখুন। কিছুক্ষণ পরে গা ধুয়ে ফেলতে পারেন। এতে চর্মরোগ দূর হয়
৩. কাকডুমর: যেকোন কারণে চামড়ার রং অন্যরকম হ’য়ে গেলে কাকডুমর সিদ্ধ জলে (কাঁচা ডুমুর অথবা গাছের ছাল) ডুমুর অথবা ছাল অন্তত ১০। ১৫ গ্রাম নিতে হবে। ঐ ছাল থেতো করে ৪ কাপ জলে সিদ্ধ করে সিকি ভাগ থাকতে নামিয়ে ছে’কে ওই জলে চামড়াটা ধুয়ে ফেলতে হবে। এইভাবে ১৫। ২০ দিন ধোওয়ার পর দেখা যাবে যে ওই বিবর্ণতা চলে যাচ্ছে।
৪. চিচিঙ্গা: যে চর্মরোগ পুরনো হয়ে গিয়েছে, সারছে না— সেক্ষেত্রে চিচিঙ্গার ডাঁটা ও পাতা একসঙ্গে রস করে, ছেকে, সমপরিমাণ জল মিশিয়ে, একটু গরম করে, ২ চা-চামচ নিয়ে সকালের দিকে একবার খেতে হবে। তবে প্রয়োজনবোধে দু’বারও খাওয়া যায়। আর ওই রসে জল না মিশিয়ে ব্যাধিতস্থানে একবার লাগাতে হবে, আধঘণ্টা বাদে ওটা ধুয়ে ফেলতে হবে, এইরকম ২-৩ দিন লাগালে উপকার পাওয়া যাবে।
৫. কাঁঠাল: দাদ, একজিমা, হাজা বা চুলকানি প্রভৃতি রোগে কাঁঠালের কচি পাতা ২ থেকে ৩টি থেঁতলিয়ে ২ কাপ পানিতে দিয়ে ভালোভাবে সেদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে সকালে-বিকালে দুবার ঐটা খেতে এবং ঐ পানি আরও তৈরি করে ক্ষতস্থান ধুলে দ্রুত নিরাময় হবে।
এর থেকে তেল তৈরী করে রাখলেও হতে পারে (১০০ গ্রাম সরিষার তেল কড়ায় চাপিয়ে মদ, জাল দিতে হবে। তেল নিক্ষেন হলে অর্থাৎ তেলে ফেনা মরে গেলে কাঁঠাল পাতা বাটা আন্দাজ ১০ গ্রাম তাতে দিয়ে ভেজে নিলে তেলটি তৈরী হয়। তবে মনে রাখতে হবে বাটাটি যেন পড়ে না যায়, আবার কাঁচাও যেন না থাকে।)
৬. ঘেঁটু: দেহের যে কোন চর্মরোগে ঘেঁটু পাতাকে থেঁতো করে রাতে শোয়ার সময় প্রলেপ দিয়ে পরিষ্কার পাতলা কাপড়ের ফালি ছিড়ে বেঁধে দিতে হবে। এরকম চার পাঁচ দিন করলেই চর্মরোগ সেরে যাবে।
৭. নিসিন্দা: রক্ত বা পিত্ত বিকৃত হয়ে এই রোগ হলে ১ চা চামচ নিসিন্দা পাতার রসের সঙ্গে এই চূর্ণ (আন্দাজ ৩ গ্রাম) খেলে বিকৃতি নষ্ট হয়।
৮. হলুদ (Curcuma longa): খসখসে চামড়া, সাত রকম মেখেও চামড়ার ঔজ্জ্বল্য রাখা যায় না; বুঝতে হবে বায়ু বিকৃত হয়ে মাংসবহ স্রোতকেই দুষিত করছে। এক্ষেত্রে অশোক বীজ বেটে হলুদের মত মাখলে ওটা সেরে যাবে। আর এটা যদি সংগ্রহ করা সম্ভব না হয় তা হলে অশোক ছালের ক্বাথ একটু ঘন করে গায়ে লাগিয়ে এক/দেড় ঘন্টা বাদ স্নান করতে হবে।
৯. আগর: আগর ঘষে গায়ে মাখলে চুলকানি, ছুলি ও ঘামাচি নিরাময় হয়।