ইভটিজিং বলতে কি বুঝি?
ইভটিজিং বলতে সাধারণত কোনো নারী বা কিশোরীকে তার স্বাভাবিক চলাফেরা বা কাজকর্ম করা অবস্থায় অশালীন মন্তব্য করা, ভয় দেখানো, তার নাম ধরে ডাকা এবং চিৎকার করা, বিকৃত নামে ডাকা, কোনো কিছু ছুড়ে দেয়া, ব্যক্তিতে লাগে এমন মন্তব্য করা, যোগ্যতা নিয়ে টিটকারী করা, তাকে নিয়ে অহেতুক হাস্যরসের উদ্রেক করা, রাস্তায় হাঁটতে বাধা দেয়া, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করা, ইঙ্গিতপূর্ণ ইশারা দেয়া, সিগারেটের ধোঁয়া গায়ে ছাড়া, উদ্দেশ্যেমূলকভাবে পিছু নেয়া, অশ্লীলভাবে প্রেম নিবেদন করা, উদ্দেশ্যেমূলকভাবে গান, ছড়া বা কবিতা আবৃত্তি করা, চিঠি লেখা, পথ রোধ করে দাঁড়ানো, প্রেমে সাড়া না দিলে হুমকি প্রদান ইত্যাদি ইভটিজিংয়ের মধ্যে পড়ে।
ইভটিজিং প্রতিরোধ
১। ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
২। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ক্লাসরুমে ইভটিজিং সম্পর্কে আলোচনা করা এবং নেতিবাচক বিষয় তুলে ধরা।
৩। গণমাধ্যমে ইভটিজিং উৎসাহিত হয় এ ধরনের বক্তব্য, বিজ্ঞাপন, নাটক কঠোরভাবে প্রচার না করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৪। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সচেতন ও কার্যকর করা।
৫। ইভটিজিংয়ের ঘটনা ঘটলে ভিকটিমের পাশে সবাইকে দাঁড়ানো।
৬। স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে ইভটিজিং প্রতিরোধ কমিটি গঠন ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা।
ইভটিজিংয়ের শিকার হলে কি করবেন?
ইভটিজিংয়ের শিকার হলে সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ডায়াল করলে পুলিশি সহায়তা পাবেন। আপনার আশপাশের র্যাব ব্যাটালিয়নে জানাতে পারেন। উপজেলা পার্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিতভাবে এবং সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত বা মৌখিকভাবে অভিযোগ দাখিল করতে পারেন। জেলাপর্যায়ে বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করতে পারেন। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকেও জানাতে পারেন। জবঢ়ড়ৎঃ ২ জঅই এই অঢ়ঢ়ং এ জানাতে পারেন।আশা করি ইভটিজিংয়ের প্রতিকার পাবেন। আসুন সবাই ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলি। আমাদের কন্যা, জায়া ও জননীদের পথচলা নিরাপদ করায় সবাই এগিয়ে আসি।