বাংলা ভাষায় "যিনদীক" শব্দটি সাধারণত "জীবন্ত" শব্দের সমার্থক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ, যেকোনো প্রাণশক্তিসম্পন্ন প্রাণী বা উদ্ভিদকে "যিনদীক" বলা হয়।
জীববিজ্ঞানের পরিভাষায়, "যিনদীক" বলতে এমন কোনো বস্তুকে বোঝায় যা জীবনের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি ধারণ করে:
কোষ গঠন
বিপাক ক্রিয়া
বৃদ্ধি ও বিকাশ
অভিযোজন
বংশগতি
পরিবেশের সাথে মিথস্ক্রিয়া
উদাহরণস্বরূপ, মানুষ, প্রাণী, উদ্ভিদ, ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি সবই যিনদীক।
তবে, কিছু ক্ষেত্রে "যিনদীক" শব্দটি বিশেষ অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন, "যিনদীক রসায়ন" বলতে প্রাণী ও উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত রাসায়নিক পদার্থগুলির বিষয়ে আলোচনা করা হয়। আবার, "যিনদীক চিকিৎসা" বলতে প্রাণী ও উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত ঔষধি পদার্থগুলির ব্যবহারের মাধ্যমে রোগের চিকিৎসা করা হয়।
সুতরাং, "যিনদীক" শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হতে পারে। তবে, সাধারণভাবে এটি প্রাণশক্তিসম্পন্ন প্রাণী বা উদ্ভিদকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।