মশার কয়েলের প্রধান উপাদান হলো পাইরোফ্রয়েড। এটি প্রাকৃতিক যৌগ পাইরোগ্রাম থেকে পাওয়া যায়। অ্যালেট্রিন-এর মতো সমধমর্ী যৌগ থেকেও পাওয়া যায়। ম্যাটেও অনুরূপ পাইরোফ্রয়েড থাকে, তবে তাতে অনবরত নির্দিষ্ট তাপমাত্রা প্রয়োগ করতে হয়। তাপ পেলে ম্যাটের পাইরোফ্রয়েড বাষ্পীভূত হয়। নির্দিষ্ট তাপমাত্রা প্রয়োগের জন্য ম্যাটকে ম্যাটহিটারের হিটপেস্নটে রাখতে হয়। এর আসল সক্রিয় উপাদান হলো কীটনাশক ডিডিটি বা পিণ্ডেনের মতো ক্লোরিনেটেড হাইড্রোকার্বন, প্যারাফিনের মতো আরপ্যানো ফসফরাস যৌগ এবং কার্বন।
প্রায় সমস্ত মশার কয়েলেই থাকে অ্যালেট্রিন। এর সঙ্গে ফেনল ও ক্রেসল- দু'টি জৈবযৌগ ব্যবহার করা হয়। কয়েলে উলিস্নখিত উপাদানগুলোর পরিমাণ মানুষের সহনীয় মাত্রার মধ্যেই থাকে বলে দাবি করে ব্যবসা করছে কয়েল প্রস্তুতকারক কোম্পানি। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কতকগুলো কীটনাশককে মশার কয়েলে ব্যবহারের জন্য নিরাপদ বলে চিহ্নিত করলেও আজ পর্যন্ত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোনো মান নির্ধারিত হয়নি।